তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি/বেসরকারি ও স্বায়ত্তসাশিত অফিস নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে খোলা থাকবে। তবে সবাইকে ১৩ দফা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিসে কাজ করতে হবে।’
সীমিত আকারে অফিস খোলা বলতে আরও পরিষ্কারভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল মন্ত্রণালয়/অফিস খোলা থাকবে। তবে সীমিত আকারে কার্যক্রম চলবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলারা ও অসুস্থ ব্যক্তি অফিস করতে পারবে না। কেউ এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেতে পারবে না। প্রতিটি জেলায় যাতায়াত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রতিটি জেলায় প্রবেশ ও বহির্গমন পথে চেকপোস্ট থাকবে। সেটি জেলা প্রশাসক আইশৃংখলা সহায়তায় বাস্তবায়ন করবেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাগরিকদের জন্য অর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড সীমিত আকারে খোলা থাকবে। হাট-বাজার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আগের নিয়মে রাত ৮টা থেকে মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। কোনা সভা-সমাবেশ ও গমজমায়েত চলবে না। মসজিদ/ গীর্জা আগের নিয়মে চলবে ।
এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিমান চালানো যাবে, বলেন প্রতিমন্ত্রী।
‘এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাইন হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে,’ যোগ করেন তিনি ।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন যে সকল নির্দশনা দেয়া হয়েছে সেটি ১৫ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুনের পর আবার আরেকটি প্রজ্ঞাপন হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ মার্চ সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ও চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়। এরপরও পরিস্থিতির উন্নত না হওয়ায় পঞ্চম দফায় ১৬ মে এবং সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করে সরকার।
২৫ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা প্রদানের সাথে জড়িত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের অধীনস্থ অফিসগুলো বর্ধিত সাধারণ ছুটির দিনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে।
সর্বশেষ গত ১৪ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১৭ থেকে যে সাধারণ ছুটি, শবে কদরের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঈদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় এখনও তা চলছে।
করোনার সংক্রমণ রোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রেল, সড়ক, নৌ ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে সরকার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যেই গত ২৬ এপ্রিল কিছু পোশাক কারখানা পুনরায় চালু করা হয় এবং কারখানার মালিকরা দাবি করেন যে তারা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে শুধুমাত্র ঢাকায় উপস্থিত কর্মীদের মাধ্যমে কাজ করছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে সর্বপ্রথম চীন থেকে সংক্রমণ শুরুর পর করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ পর্যন্ত ছড়িয়েছে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে।