বুধবার ভোর রাতে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলার জোটপুকুর বাজার থেকে আত্মগোপনে থাকা তাজ উদ্দিন নামে এ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সিলেট পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত তাজ উদ্দিন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার রাজারগাঁও গ্রামের মৃত আখলিছ মিয়ার ছেলে।
চলতি বছরের ২২ জুন নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক মিয়া। পরদিন সকালে উত্তর খুরমা ইউনিয়নের পাতলাচুড়া বিলের কচুরিপানায় তার ব্যবহৃত জুতা ও লুঙ্গি পায় পুলিশ। ২৪ জুন একই বিলে লাশ ভেসে উঠে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
হাত-পা বাঁধা গলাকাটা লাশের গায়ে ছিল বেশ ক’টি ক্ষত চিহ্ন। লাশের গলায় দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল কয়েকটি ইট।
নিহত ফারুক মিয়া উত্তর খুরমা ইউনিয়নের পুরান মৈশাপুর গ্রামের মৃত মাস্টার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি উত্তর খুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রেহানা বেগম বাদী হয়ে থানা ও আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।