রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্তে একটি মৃত্যুও দেখতে চাইনা। এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এটি যে গ্রহণযোগ্য নয় সে বিষয়ে ভারতও একমত হয়েছিল।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবারই বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের মাধ্যমে সীমান্ত হত্যার বিষয়ে ভারতকে বাংলাদেশের বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি বড় দ্বিপক্ষীয় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ১১৪৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
সীমান্তে মৃত্যু কমিয়ে আনা হবে, দিল্লি সবসময় এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা অব্যহত রেখেছে বিএসএফ।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিএসএফ-এর গুলিতে কমপক্ষে ৪৩ বাংলাদেশিকে নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত মাসেও ভারতের সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি’। প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নিতে আগামী মঙ্গলবার চার দিনের সফরে রোমের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
স্থানীয় সময় বিকাল সোয়া ৪টায় ফ্লাইটটি রোমের ফিয়ামিকিনো বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার।
সন্ধ্যায় পার্কো দে প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
৫ ফেব্রুয়ারি রোমের ভায়া ডেল’এন্টারটাইড এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সরি ভবনের উদ্বোধন করবেন তিনি।
বিকালে পার্কো দে প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় ইতালির বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করবেন।
সন্ধ্যায় একই হোটেলে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
৬ ফেব্রুয়ারি পোপ ফ্রান্সিসের সাথে সাক্ষাত করবেন শেখ হাসিনা। এরপর তিনি মিলানের উদ্দেশ্যে রোম ত্যাগ করবেন।
৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আমিরাতের একটি ফ্লাইটে মিলান মালপেন্সা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার।
৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় হযজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।