করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ভারতের সীমান্তবর্তী সাত জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
কমিটির সদস্য ও জনস্বাস্থ্যবিদ ড. আবু জামিল ফয়সাল ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সাত জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি। শনিবার এক বৈঠকে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লকডাউন চলছে। নতুন করে আরও সাতটি জেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। তবে কক্সবাজার, ফেনী ও নোয়াখালী, এই তিনটি সীমান্তবর্তী জেলার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়নি। এই জেলাগুলোতে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। সংক্রমণ পর্যবেক্ষণ করে পর্যায়ক্রমে এগুলোতেও লকডাউন দেয়ার ব্যাপারে চিন্তা করা হতে পারে।
আরও পড়ুন:এবার ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন
ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘আমি মনে করি, যেহেতু এখন সীমান্তেই সংক্রমণ বাড়ছে, সেহেতু শুধু সীমান্তবর্তী এলাকায় অঞ্চলভিত্তিক কঠোর লকডাউনের মাধ্যমেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: এবার ‘লকডাউন’ বাড়লো ৩০ মে পর্যন্ত
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম জানিয়েছিলেন, 'ইতিমধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও তিনটি জেলা আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সেগুলোতে সংক্রমণ বাড়লেই লকডাউনের চিন্তাভাবনা রয়েছে।'
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দিনের লকডাউন শুরু
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করি, তখন ওই জেলায় সংক্রমণ ছিলো ৪০ এর ওপরে। আর অন্য জেলাগুলোতে এখনও সংক্রমণ অনেক নিচে। তবে যদি বাড়তে থাকে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেয়া হবে।’