অপহৃত ছাত্রীর বাবা শ্যামল সমাজদার বলেন, গত ২৭ অক্টোবর (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯টায় আমার মেয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পথে একই গ্রামের বরুণ বিশ্বাসের ছেলে গোপাল বিশ্বাস (২০) তাকে অপহরণ করে। স্কুল ছুটির পর মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি আরও বলেন, ‘পাশের বাড়ির গোপাল বিশ্বাস আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি গোপালের বাবা-মাকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। উল্টো গোপাল আমাদের বাড়ির পাশে তার বন্ধুদের নিয়ে এসে আড্ডা দেয় এবং মেয়েকে অপহরণের হুমকি দিয়ে আসছিল।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশীষ কুমার মিস্ত্রী বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকালে মেয়ের বাবা আমার কাছে আসেন। আমি তার আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে তার মেয়ের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে বলি। এক পর্যায় বিষয়টি ছেলের বাবা আমার কাছে স্বীকার করলে আমি তাকে মেয়ে উদ্ধার করে তার অভিভাবকদের কাছে বুঝে দিতে বলি। কিন্তু তিনদিন অতিবাহিত হলেও তিনি তা দিতে ব্যর্থ হন।’
অভিযোগের বিষয় স্বীকার করে গোপালের বাবা বরুণ বিশ্বাস বলেন, ‘আজ সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে তাদের আমি যেভাবেই হোক হাজির করবো।’
কাশিয়ানী থানার এএসআই এম এ খায়ের বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।