বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন(বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা ঘাটের উপ ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এদিকে, দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দক্ষিণবঙ্গ-ঢাকাগামী শতশত যানবাহন ঘাটের উভয় পাশে আটকে পড়ে। ফলে এসব যানবাহনে থাকা যাত্রীরা কনকনে শীতের মধ্যে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ফেরি পারাপার বন্ধ হয়ে পড়ায় ঘাটে আটকে পড়ছে বহু যানবাহন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফেরি চালক জানান, কুয়াশা ভেদ করে চলাচলের জন্য ২০১৪ সালে ফেরিতে ‘ফগলাইট’ বসানো হয়েছিল। সেগুলো অত্যন্ত নিম্মমানের হওয়ায় কোন কাজে আসছেনা।
এদিকে কুয়াশায় বিকল্প কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে যাত্রীরা বলছেন, দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় এনে উন্নতমানের ‘ফগলাইট’ স্থাপন করা হলে ঘাটের দুর্ভোগ কমে যেতো।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, ঘন কুয়াশা প্রাকৃতিক বিষয়। এতে কারো হাত নেই। তাই তাদের কোন কিছু করারও নেই। তবে কুয়াশা কেটে গেলে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস, রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স ও কাঁচামালবাহী ট্রাক আগে পারাপার করেন।