বিষয়টি নিশ্চত করে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন সুপার জহিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ত্রিশালের ফাতেমানগর স্টেশন পার হয়ে আউটার সিগনালের পর কমিউটার ট্রেনের পাওয়ারকার ও গার্ড ব্রেক রুমের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। রাতেই ঢাকা ও ময়মনসিংহ থেকে দুটি রিলিফ ট্রেন এসে পৌঁছলে রেলকর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করে।
তিনি আরো জানান, ট্রেন লাইনের একটি কালবার্ট ধসে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ চালাতে দেরি হয়। পরে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রেলকর্মীরা লাইন থেকে কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি দুটি সরাতে সক্ষম হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্টেশন সুপার জানান, বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ জানতে রেলওয়ে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ময়মনসিংহের এসিস্ট্যান্ট সিগনাল ইঞ্জিনিয়ার, এসিস্ট্যান্ট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও এসিস্ট্যান্ট এক্রিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কমিউটার এক্সপ্রেস ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত ৮টার দিকে ত্রিশালের ফাতেমানগর স্টেশন পার হয়ে আউটার সিগনালের পর কমিউটার ট্রেনের পাওয়ারকার ও গার্ড ব্রেক রুমের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এরপর থেকে ঢাকা ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ময়মনসিংহ ও গফরগাঁও স্টেশনে বেশ কয়েকটি আন্তঃনগরসহ মেইল ট্রেন আটকা পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল চরমে। অনেকে বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।