‘আমি শিক্ষক, আমাকে ক্লাসে ফিরে যেতে দিন’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেয়া শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদীর ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক রুশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তার সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানালে ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে তাকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।
রুশাদ ইউএনবিকে জানান যে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে কোনো নোটিশ না দিয়েই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।
‘হাইকোর্টর আদেশের পর আমি বিভাগে যোগদানের জন্য আবেদন করি। কিন্তু বিভাগ আমার আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বলে যে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তাদের কিছু করার নেই,’ বলেন তিনি।
‘কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমার সাথে এখনো যোগাযোগ করেনি। আসলে বিভাগের অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি সব সময় কথা বলি এবং এ কারণেই লক্ষ্যবস্তু হয়েছি,’ যোগ করেন তিনি।
কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত প্রতিদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন রুশাদ।
রুশাদকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বৈধতা বিষয়ে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই প্রশ্ন তোলে। সেই সাথে সিদ্ধান্তটিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তার ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে রুল জারি করে আদালত।
দুই বছর পর চলতি বছরের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং রুশাদকে কাজে যোগদানের সুযোগ দেয়ার জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।
রুশাদের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ রায় দেয়।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিক উজ জামান সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও রুশাদ ফরিদীর মাঝে আইনি বিরোধ থাকায় এতে তাদের কিছু করার নেই।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রুশাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এবং তারা শুধু সেটা অনুসরণ করবেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সাথে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।