বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সহযোগিতা করতে আগ্রহী জাপানি ইয়ানমার প্রিন্সিপাল। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে পাশে থাকা জাপানের শত বছরের পুরাতন এই প্রতিষ্ঠানটি কৃষি উন্নয়নেও কাজ করতে চায়।
সোমবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে রাজধানীর ন্যাম ভবনে বৈঠকে জাপানি ইয়ানমার প্রিন্সিপালের প্রেসিডেন্ট মিস্টার তাকিশাই অন্ডু এসব কথা বলেন।
কৃষক পর্যায়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ইয়ানমার। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাজারে রিমোর্ট সেন্সিং টেকনোলজি সম্পন্ন পণ্য নিয়ে আসতে চায় ইয়ানমার বলে উল্লেখ করেন অন্ডু।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে বর্তমান কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের কৃষির বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাত। যথাযথ প্রক্রিয়া ও বাজারজাত ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। রাষ্ট্রও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান। কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক কৃষির জন্য সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। টেকসই কৃষি উন্নয়ন তথা বিভিন্ন ফসল ও শস্য বহির্ভূত কৃষিখাতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এখন সময়ের দাবি।
মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিজমির পরিমাণ দিন দিন কমছে, কৃষি শ্রমিক শহরমুখী হয়ে অন্য কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শুধু উন্নতজাত ও সার ব্যবহার করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। সেজন্য ফসল উৎপাদন, ধান কাটা ও কর্তন-পরবর্তী কাজগুলোয় সঠিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে অপচয় রোধ করে বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি যন্ত্রায়ন বর্তমান সরকারের অগ্রগণ্য বিষয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবজি উৎপাদন, মৎস্য চাষ ও পশুপালনেও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব রয়েছে সরকারের।
প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন- রয়সুকি ইয়ামাগুচি, সুগু ডাটি, শুভ্রত রাজন, কায়ারুল আহসান ও ইয়াসির ইবনে আহাদ।