সবকিছু বন্ধ থাকায় একদিকে আসছে না নতুন বুকিং। অন্যদিকে, গ্রাহকরা আগে থেকে করা বুকিংও বাতিল করছেন। ফলে বিপাকে পড়ে চলতি মাসে কর্মচারীদের বেতন দেয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
যশোর শহরে ১০টি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। গত এক মাস ধরে এসব সেন্টারে কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। কিছু অগ্রিম বুকিং থাকলেও সেগুলো বাতিল হয়েছে বলে জানা যায়।
শহরের মুজিব সড়কের ‘চাই পাই কমিউনিটি সেন্টারের’ স্বত্তাধিকারী হাবিবুর রহমান রুবেল জানান, গত এক মাস ধরে কোনো বুকিং নেই। এমনকি অগ্রিম বুকিং নেয়া দুই লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। কোনো আয় নেই। চলতি মাসে বেতন কর্মচারীদের কিভাবে দেব চিন্তায় রয়েছি।’
মণিহার কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, ‘কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া দিয়ে আমাদের বেতন নিতে হয়। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। এপ্রিল মাসে আমাদের বেতন হবে কিনা এ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।’
সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে জয়তী সোসাইটি সেন্টারটি। এ কমিউনিটি সেন্টারটিতে খাবারের রেস্টুরেন্ট থাকায় গত ২০ মার্চ থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অর্চনা বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় সকল বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমাদের ৭২ জন কর্মীর মার্চ মাসের অর্ধেক বেতন দেয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসের বেতন দেয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।’
এছাড়া আমরা ২শ’ বৃদ্ধা মাকে অর্থসহায়তা দিয়ে থাকি। ব্যবসা পরিচালনা বন্ধ থাকায় কোন আয় নেই ফলে সেটিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে, বলেন তিনি।
একই অবস্থা শহরের অন্যান্য কমিউনিটি সেন্টারগুলোতেও।
এদিকে, কমিউনিটি সেন্টার এবং সামাজিক সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকার জেলায় ডেকোরেটর ব্যবসার সাথে জড়িতরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। ব্যবসা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় অর্থ কষ্টে রয়েছেন তারাও।
শহরের বেজপাড়া মেইন রোডের নূর ডেকোরেটরের মালিক শাহজাদা বাবু বলেন, ‘ডেকোরেটর ব্যবসা করে আমাদের সংসার চালাতে হয়। কিন্তু গত একমাস ধরে কোনো ব্যবসা নেই। এতে আমাদের পাশাপাশি শ্রমিকরা রয়েছেন আর্থিক কষ্টের মধ্যে।’