গত ৭ অক্টোবর ১০০ টি বাইসাইকেল নিয়ে ‘ডিইউ চক্কর’ নামে ক্যাম্পাসে জোবাইক সেবাটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে এ সেবা দিতে ১৩০টি বাইসাইকেল চালু রয়েছে ঢাবির ক্যাম্পাস জুড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উদ্যোগে দ্বিচক্র যানের এ অ্যাপভিত্তিক সেবাটি চালু করা হয়।
এরই মধ্যে ঢাবি ক্যাম্পাসে ৫ হাজার ২০০ জন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছেন। সাশ্রয়ী ও ভালো মানের সেবার কারণে সারাদেশ জুড়ে এখন পর্যন্ত জোবাইকের নিবন্ধিত ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় এক লাখ।
জোবাইক সেবা নিতে একজন ব্যবহারকারীকে প্রথম ৫ মিনিটে ২টাকা ৫০ পয়সা, পরবর্তী প্রতি মিনিটের জন্য ৪০ পয়সা ব্যয় করতে হয়।
ঢাবি ক্যাম্পাসে এ সেবা পেয়ে ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে বাইসাইকেলের সংখ্যা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
ঢাবির বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক ছাত্র গাজী হিরক বলেন, জোবাইকে চলাচলের খরচ রিকশা থেকে কম। একটি রিকশা দিয়ে ৩০ টাকায় যতটুকু পথ যাওয়া যায় তা জোবাইক ব্যবহার করে মাত্র ৫-১০ টাকাতেই ততটুকু দূরত্বে যাওয়া যায়। এটি খুবই সাশ্রয়ী।
এ সেবাটি প্রশংসা করে তিনি বলেন, অনেক সময় প্রচুর চাহিদার কারণে বাইসাইকেল পাওয়া যায় না। তাই ক্যাম্পাসে এর সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার।
জোবাইকের প্রধান নির্বাহী মেহেদী রেজা ইউএনবিকে বলেন, আমরা ঢাবির ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তাই আমরা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ক্যাম্পাসে ৫০০টির মতো বাইসাইকেল দিতে যাচ্ছি।
আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আবাসিক হল, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে টাচ পয়েন্টের সংখ্যাও বাড়াতে যাচ্ছি। যেখানে আগ্রহী ব্যবহারকারীদের সহায়তা করার জন্য জোবাইক প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।
জোবাইক সেবার জন্য আগ্রহীদের প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে জোবাইকের মোবাইল অ্যাপ নামাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর রিচার্জ পয়েন্ট থেকে অ্যাপে ব্যালেন্স রিচার্জ করে সেবাটি ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসুর ছাত্র পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক শামস-ই-নোমান বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতকে সহজ করার জন্য ক্যাম্পাসে জোবাইক সেবা চালু করা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল।
‘এ সেবাটি চালুর আগে রিকশায় চলতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি খরচ করতে হতো। জোবাইক পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো,’ বলেন তিনি।
গত বছরের জানুয়ারিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রথম জোবাইক সেবাটি চালু করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও এ সেবাটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএস-এ বর্তমানে চালু রয়েছে।