ডব্লিউএইচও হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ড. মাইকেল রায়ানের মতে, গত সপ্তাহে বিশ্বে করোনায় আক্রান্তদের ৪৬ শতাংশ এবং মৃতের প্রায় এক তৃতীয়াংশই ছিল ইউরোপীয় অঞ্চলে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় অঞ্চল এখন করোনার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে এ ব্যাপরে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। করোনা নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে মানুষের চলাচল সীমিত করা ও ঘরে থাকার নির্দেশ বাস্তবায়ন দেশগুলোকে ভাইরাস মোকাবিলা এগিয়ে রাখবে।
এদিকে, ডব্লিউএইচও হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের টেকনিক্যাল লিড ডা. মারিয়া ভ্যান কারখোব বলেন, ইউরোপের জন্য এখন সবচেয়ে ভাবনার বিষয় হচ্ছে হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে ভর্তি সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে মনোযোগী হওয়া। হাসপাতালগুলোতে থাকা শয্যাগুলো আগামিতে দিনগুরোতে দ্রুতই পূর্ণ হয়ে যাবে।
কোভিড মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে সম্মুখীন হতে যাচ্ছে বিশ্ব। ভাইরাসটি প্রতিরোধে কার্যকর টিকা আবিষ্কারের জন্য ফ্রান্স, ইতালি, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, গত ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১৯৮টি টিকা আবিষ্কার করা হয়েছে এবং যার মধ্যে ৪৪টির ক্লিনিকাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।