এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ লাখ ২৯ হাজার ২২১ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২১ লাখ ৬২ হাজার ৮৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭১৩ জনের।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৭ জন এবং ৫ লাখ ৫২ হাজার ৫৪৯ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
এদিকে, রাশিয়ার পর চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৯০৩ জনের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্রাজিলে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫১০ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর করোনাভাইরাসে মৃতের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ২৩৮ জন।
এছাড়া ইতালিতে ৩৪ হাজার ৪৪৮ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ৫৭৮ জন এবং স্পেনে ২৭ হাজার ১৩৬ মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জন মারা গেছেন এবং ৪ হাজার ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
নতুন আক্রান্তসহ এখন পর্যন্ত দেশে করোনার শিকার হয়েছেন ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন। আর মোট মারা গেছেন এক হাজার ৩০৫ জন। করোনায় নতুন যে ৪৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ১৫ জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯২৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১৮৯ জন।