জেএইচইউ’র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৮৮টি দেশে মোট ২ কোটি ৫৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৬৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৬১ হাজার ৫১২ জনে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৬১ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭০৪ জন, যা বিশ্বব্যাপী মৃতের এক পঞ্চমাংশেরও বেশি।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৭৮০ জনের।
এদিকে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৬ হাজার ৩৩৩ জনের।
অন্যান্য দেশের মধ্যে করোনায় মেক্সিকো, ব্রিটেন, ইতালি এবং ফ্রান্সে ৩০ হাজারের বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৩৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ২ হাজার ৫৮২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫২৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৪০৮ জন বা ৭৮.৩৩ শতাংশ এবং নারী ৯৪৩ জন বা ২১.৬৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৩৭ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৮৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৬৬.৪৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।