এ ঘটনা ইসরায়েলের অচল রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে আরও বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং নেতানিয়াহুর ১০ বছর ধরে ক্ষমতা ধরে রাখাকে ফেলে দিয়েছে হুমকিতে। তবে তিনি পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে প্রসিকিউটরদের ‘অভ্যুত্থান চেষ্টার’ জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় থাকা কোনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আনা হলো তিন বছর ধরে তদন্ত চালানোর পর। তাকে জালিয়াতি, বিশ্বাস ভঙ্গ ও ঘুষ নেয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই ম্যানডেলব্লিট।
নেতানিয়াহুর নিয়োগ করা ম্যানডেলব্লিট সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতিবাজ শাসনের গুরুতর অপরাধের জন্য রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়ার সিদ্ধান্তের দিনটি ইসরায়েলি জনগণ ও ব্যক্তিগতভাবে তার নিজের জন্য এক দুঃখের দিন।
এ অভিযোগপত্রের কারণে ৭০ বছর বয়সী নেতানিয়াহুকে পদত্যাগ করতে হবে না। তবে ইসরায়েল এক বছরের মধ্যে তৃতীয় নির্বাচনের পথে যাওয়ার সময়ে এটি তাকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করে দিয়েছে।
জাতীয় টেলিভিশনে এসে নেতানিয়াহু দাবি করেছেন যে তিনি পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের বিরাট ষড়যন্ত্রের শিকার। তারা প্রধান সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে সাক্ষ্য নিয়েছে।