এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রেমার প্রথাগত পোশাকে পুরস্কারটি গ্রহণ করলেও বাঙালি অভিজিৎ তার স্ত্রী ডুফলোকে নিয়ে খাঁটি বাঙালিয়ানা সাজে পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন।
৫৮ বছর বয়সী অভিজিৎ ক্রিম রঙের পাঞ্জাবী এবং সোনালি পাড়ের সাদা কেরলের বিশেষ ধুতি বা মুণ্ডু এবং গলাবন্ধ কালো জ্যাকেটে সেজেছিলেন।
অন্যদিকে, ফরাসি-আমেরিকান এস্থার ডুফলো এই বিশেষ দিনে নীলাম্বরী! নীল শাড়ি, লাল ব্লাউজ এবং লাল টিপে একেবারে ভিন্ন রূপে নোবেল পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন স্বামী-স্ত্রী'র জুটি।
গত অক্টোবরে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা এবং সরকারের নীতি নিয়ে অভিজিতের সমালোচনাকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করেন বিজেপি নেতারা। কে বিজেপি নেতা অভিজিৎকে ‘বামপন্থী' অর্থনীতিবিদ হিসাবে অভিহিত করেন।
তবে নোবেলজয়ী অভিজিৎ ব্যানার্জীর সাথে এক বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘মানব ক্ষমতায়নের প্রতি তার অনুরাগ স্পষ্টভাবেই দৃশ্যমান। ভারত তার কৃতিত্বের জন্য গর্বিত।’
ভারতের কলকাতায় জন্ম নেয়া অভিজিৎ তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৮৩ সালে নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৮৮ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে গবেষণা শুরু করেন।