জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী দ্রুত টিকাদান প্রচারণা সত্ত্বেও সোমবার বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ কোটি ১২ লাখ ছাড়িয়েছে।
সোমবার সকালে জেএইচইউ-র তথ্য দেখায় বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ১২ লাখ ৩ হাজার ৬৪৭ জনে এবং মৃতের সংখ্যা ২৮ লাখ ৫২ হাজার ১৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা ডিএসসিসি মেয়রের
গত ২৫ মার্চ কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু এখন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ১ জন ছাড়িয়ে গেছে।
রবিবার ব্রাজিলে ৩১ হাজার ৩৫৯ জন নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ২৪০ জন মারা যায় এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৩১ হাজারে ৪৩৩ জনে পৌঁছেছে।
ব্রাজিলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫৬ জনে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
শনিবার ব্রাজিলে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষকে কোভিড-১৯ এর টিকা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের করোনায় মৃত্যু ৫ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে
এদিকে, ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৯ জনে পৌঁছেছে এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৬২৩ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশে একদিনে রেকর্ড ৭ হাজার ৮৭ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু ৯ হাজার ২৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবারের ১.৪৬ শতাংশ থেকে রবিবার মৃত্যুর হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৪৫ শতাংশে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনে রেকর্ড ৭ হাজারের বেশি শনাক্ত, মৃত্যু আরও ৫৩
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জানুয়ারিতে মারা যায় ৫৬৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৮১ জন এবং মার্চে ৬৩৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদশে এখন অব্দি ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশব্যাপী লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ এবং বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে সরকার সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য জনগণের চলাচল ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করে যা ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।