ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ কর্তৃপক্ষ খেরসন শহরের সব বাসিন্দাদের শনিবার অবিলম্বে চলে যেতে বলেছেন। রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর প্রথম যে শহর তাদের দখলে নিয়েছিল তা পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে ইউক্রেনীয়রা পালটা আক্রমণ করতে পারে এমন সম্ভাবনায় কর্তপক্ষ সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং সার্ভিসের একটি পোস্টে ক্রেমলিনপন্থী আঞ্চলিক প্রশাসন বেসামরিক নাগরিকদের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ভেতরে যাওয়ার জন্য বড় নদী পার করতে নৌকা ব্যবহারে জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়েছে। যেখানে, আসন্ন এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ও মর্টার নিক্ষেপের হুমকি এবং কিয়েভের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবহিত করলেন মোমেন
ইউক্রেনে প্রায় আট মাসব্যাপী যুদ্ধের প্রায় শুরু থেকেই খেরসন রাশিয়ার দখলে। এই শহরটি গতমাসে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে চারটি শহর রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেন তার একটি। বৃহস্পতিবার যা রুশ সামরিক আইনের অধীনে আনা হয়।
শুক্রবার ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রদেশ জুড়ে রুশদের অবস্থান লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করেছে। নিপার নদীজুড়ে ক্রেমলিনপন্থী বাহিনীর পুনঃসরবরাহ সড়কগুলো লক্ষ্য করে এবং শহরটি পুনরুদ্ধার করার জন্য চূড়ান্ত চাপ সৃষ্টির প্রস্তুতি হিসেবেই এই হামলা করা হয়।
আগস্টের শেষের দিকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই অঞ্চলের উত্তরে বিস্তৃত এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। শনিবার নতুন সাফল্যের কথা জানিয়ে বলা হয়, রুশ সৈন্যরা বেরিসলাভ জেলার চারিভনে ও চকলোভ গ্রাম থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
খেরসন শহরকে দখলে নেয়ার বিষয়টি রুশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়। শিল্প ও বন্দরের কারণে শহরটি উভয়পক্ষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। হাজার হাজার বাসিন্দাদের যখন সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল তখন অঞ্চলটি যেন এক দুর্গে পরিণত হয়!
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া–ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশবাহী ৪র্থ রুশ জাহাজ মোংলায় ভিড়েছে