দেশটির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, গত এক দশক আগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি বৃহত্তম সহিংস ঘটনা।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, হামলার সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উপলক্ষে গির্জায় প্রার্থনা চলছিল। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। হামলায় দুটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে কলম্বোর কোচ্চিকাদে এলাকার সেইন্ট নেগম্বোর সেইন্ট সেবাস্টিয়ানের গির্জা এবং বাট্টিকালোয়ার জিয়ন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলাকালে বোমা হামলা চালানো হয়।
এছাড়া কাছাকাছি সময়ে রাজধানী কলম্বোতে অবস্থিত তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। হোটেলগুলো হচ্ছে শাং রিলা, সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবেরি হোটেল।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য খুবই আনন্দের ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন ইস্টার সানডে। খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন, এই দিনে খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্টের পুনরুত্থান হয়েছিল।
এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জনগণকে ভীত না হয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে এখনও কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ন্যাশনাল হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সামিন্দি সামারাকুন এপিকে জানান, আহতদের কলম্বোর প্রধান হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বোমার প্রচণ্ড শব্দে আশেপাশের এলাকার কয়েকটি ভবন কেঁপে ওঠে। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের অ্যাম্বুলেন্স যোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সেন্ট সেবাস্তিয়ান্স গির্জা তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ থেকে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, তারা হামলার বিস্তারিত জানতে তদন্ত করছেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাগুলোর সকল গির্জা বন্ধ করে দিয়েছে।