মঙ্গলবার বিকালে এক অভিযানে পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিসি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় একটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের উপস্থিতিতে নগরীর স্টেশন রোডের নুপুর মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) আমরা খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ইনভয়েস এবং আমদানি ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছিলাম। সে মোতাবেক চট্টগ্রামের তিনটি আমদানিকারকের ঠিকানা পেয়েছিলাম। তার প্রেক্ষিতে আজকে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।’
তিনি বলেন, দোকানের মালিককে না পাওয়ায় ম্যানেজার ও মালিকের ছেলেকে আটক করা হয়।
কারসাজির সাথে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তাদেরকে এমন বিষয়সহ বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, বলেন তিনি।
ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, এখান থেকে এসব আমদানিকারকরা টেকনাফের চক্রের সাথে মিলে মিয়ানমারের পেঁয়াজের মূল্য আড়তদারদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ডকুমেন্ট অনুযায়ী গত ২ নভেম্বর তাদের পেঁয়াজ হয়ে সোমবার মার্কেটে ঢুকেছে। আগের পেঁয়াজগুলো বেশি দামে বিক্রি না করতে পারলেও, সম্প্রতি আসা পেঁয়াজগুলো খুব চড়া দামে বিক্রি করছে তারা।