তিনি বলেন, ‘ভোগ্য পণ্যের দাম যাতে বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ হচ্ছে, কারখানা থেকে যে মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হয়, তা থেকে প্রতি কেজি বা এককে পঞ্চাশ পয়সা পাইকারি বিক্রেতারা লাভ করবে। ওই পণ্যের ওপর আরতদাররা যদি একটি ছোট অংকের লাভ করে ছেড়ে দেয় এবং খুচরা ব্যবসায়ী যদি প্রতি কেজি বা এককের পণ্যের ওপর পরিবহন খরচসহ বিভিন্ন খরচ বিবেচনা করে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা লাভের পর ভোক্তাদের কাছে বিক্রয় করে, তাহলে ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।’
সচিবালয় আসন্ন রমজানে ভোগ্য পণ্যের দাম যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, বৈঠকে শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ‘পণ্যের স্তরভিত্তিক মূল্য চেইনটা যদি দেখভাল করা যায়, তাহলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি হবে না। আর আমরা এটা গুরুত্ব সহকারে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেখবো। আর স্তরভিত্তিক মূল্য চেইনের বিষয়ে ব্যবসায়ীরাও একমত হয়েছেন। এমনকি আরতদারদের অনেকে বলেছেন, তারা কেজি প্রতি পঞ্চাশ পয়সা লাভ করতে পারলেই যথেষ্ট। ফলে ভোগ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা আমরা দেখছি না।’
টিপু মুনশি জোর দিয়ে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা একটি ক্লু দিয়েছেন, আমরা সেটি অনুসরণ করবো। আমরা সবাই মিলে কাজ করতে পারলে ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি সমস্যার সমাধান সম্ভব। আর এটা হতে হবে।’
‘আমরা যদি মনে করি রমজান মাস একটি পবিত্র মাস, এই মাসে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নেয়া ঠিক নয়। এটা যদি আমরা মেনে চলি, তাহলে আল্লাহ তায়ালাও আমাদের ওপর খুশি হবেন,’ যোগ করেন তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা দেখি রংপুর বা বগুড়ায় যে সবজির দাম ১০ টাকা কেজি, তা ঢাকায় এসে দাম বেড়ে হয়ে যায় ৪০ টাকা কেজি। বিক্রেতাদের প্রশ্ন করলে তারা বলে, পথে পথে চাঁদাবাজি হয়।
চাঁদাবাজির জন্য আর ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ইতিবাচক আছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে কাজ করে আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করে যাবো। চাঁদাবাজি ঠেকাতে থানা, এসপি লেভেল ছাড়াও প্রয়োজনে আমরা একটি কল সেন্টার করে দেবো। যাতে যে কেউ চাঁদাবাজি হচ্ছে তা জানালে ব্যবস্থা নেয়া যায়।’
মন্ত্রী বলেন, রাস্তায় প্রতিটি পয়েন্টে ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে যথেষ্ট শক্ত হতে বলেছেন।