আর তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুতার কারখানাগুলোতে কারিগর ও সংশ্লিষ্টদের এখন কেবলই ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামনে ঈদ, তাই তাদের ব্যবসা এখন চাঙ্গা। তবে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে যথাসময়ে বিক্রেতা (পাইকারদের) মালামাল বুঝিয়ে দিতে পারছে না।
বিদ্যুতের লোডশেডিং না থাকলে শ্রম ও সময় বাঁচতো তাদের। এতে কারখানার মালিকদের মুনাফা বাড়ার পাশাপাশি জুতার কারিগররাও আর্থিকভাবে আরো লাভবান হতে পারতো বলে জানান জুতা কারখানার মালিক ও কারিগররা।
পাদুকা শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শফি উদ্দিন বলেন, এ শিল্পের বড় উপাদান হচ্ছে বিদ্যুৎ। এর জন্য আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে এ শিল্প দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শতাধিক কারখানায় প্রায় ১০ হাজার জুতা কারিগররা এখন দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরতলীর পীরবাড়ি সুহিলপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক এখন বিরামহীনভাবে কাজ করছেন। বাহারি ডিজাইন, গুণগতমান এবং দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় এখানকার জুতার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। গুণগতমান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে এখানকার পাদুকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদে তাদের বেচাকেনা ভালো তবে বিদেশি জুতার কারণে তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
অন্যদিকে কারিগররা বলেন, ঈদে তাদের কাজ ভালোই হয়, তবে কাজের তুলনায় মজুরি কম। তারপর বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে তাদের শ্রমঘণ্টা নষ্ট হয়। কারণ তাদের অনেকেই উৎপাদন চুক্তিতে কাজ করেন।