সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, কাস্টমস অফিসার কর্তৃক পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। এর একটা সুরাহা হওয়া উচিত। অফিসাররা রজস্ব বোর্ডের কোনো নির্দেশনা মানছেন না। কাস্টমসের মূল্যায়ন ডাটা শিটে সর্বনিম্ন মূল্যে আমদানিকৃত পণ্য শুল্কায়ন করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট গ্রুপ দুটি তা মানছেন না। তারা সবসময় উচ্চতর মূল্যে শুল্কায়ন করতে চান।
সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বেনাপোল কাস্টমসে কাজের কোনো পরিবেশ নেই। ৩ ও ৪ নম্বর শুল্কায়ন গ্রুপের রাজস্ব কর্মকর্তাদের অহেতুক হয়রানি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ব্যবসায়ীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমদানি করা পণ্যের একটি ফাইল শুল্কায়ন গ্রুপে গেলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড় করিয়ে রেখে ইচ্ছামতো এইচএস কোড ও মূল্য পরিবর্তন করে হয়রানি করছে। ফলে আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘বেনাপোল কাস্টমসে হয়রানির কোনো শেষ নেই। মাল ঢোকা থেকে শুরু করে পরীক্ষণ ও শুল্কায়নে নানাবিধ হয়রানির শিকার হতে হয়। আমদানি করা একই পণ্য তিনবার পরীক্ষা করতে হচ্ছে। তাছাড়া শুল্কায়নে হচ্ছে নানা জটিলতা। তাই বেনাপোলের ব্যবসায়ীরা কাস্টমস কর্তৃক নানাবিধ হয়রানির প্রতিবাদে পরীক্ষণসহ ৩ ও ৪ নম্বর গ্রুপে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। কাস্টমস অফিসার কর্তৃক এসব হয়রানিমূলক কার্যক্রম বন্ধ না হলে আগামীতে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয়া হবে।’
বেনাপোল কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুল্কায়ন গ্রুপ ৩ ও ৪ নম্বরে কাউকে হয়রানি করা হয় না। রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা কম মূল্যে পণ্য শুল্কায়ন করতে চায়, কাস্টমস তাতে সঠিকভাবে শুল্কায়ন করলে তারা এটিকে হয়রানি বলতে চায়।’