অনেকেই ক্লিক বাজ খবর পড়ে না যেমন আমি ও আরো কয়েকজন। তবে আমরা বয়স্ক মানুষ তাই চটুল খবরের অজুহাতে এদের এড়িয়ে যাই। কিন্তু প্রায় সবাই পড়ে এবং এটাই স্বাভাবিক কারণ মিডিয়ায় যা আসে তার ভোক্তা আছে বলেই আসে। যে মিডিয়া আউটলেট এদের অস্বীকার করে যাবে, তাকে মূলধারা মিডিয়ায় কি বলা যাবে? তবে এটা ঠিক কিছু মিডিয়ায় থাকবে যাদের পদচারণা বাজারের বাইরে হবে। এদের অর্থায়ন সমস্যা নাই তাই সেটা করতে পারে কিন্তু তারা কি সবল ও প্রভাবশালী? বাকিদের জন্য ওই কয়েকটা নাম কি বাস্তবতার প্রকৃত চেহারার প্রতিচ্ছবি?
২
রাহিমা খাতুন ও মরিয়মের সংবাদটা অন্তর্ধান, অপহরণ, লুকিয়ে যাওয়া কেন্দ্রিক। সেই অর্থে কেলেঙ্কারি বিষয়ক নয়। তবে এক দিক থেকে বিষয়টা তাই। তাদের বিরুদ্ধে চার্জ হচ্ছে তারা মিথ্যাচার করেছে, সাজানো নাটক করে সবাইকে বোকা বানাতে চেয়েছে। এর ফলে কিছু নিরপরাধ মানুষ জেলে গেছে। কিন্তু কে করেছে, কিভাবে করেছে এবং কেন করেছে এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। পুলিশ বলেছে রহিমাকে অপহরণ করা হয়নি। মরিয়ম বলছে সে নিশ্চিত না। তাকে মেয়ে নিয়ে গেছে মানসিক হাসপাতালে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। কিন্তু মিডিয়া জগতে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নেতিবাচক চরিত্রে, হয়তো আরো বেশি কিছু।
৩
শাকিব খান, বুবলী, অপু বিশ্বাস, পূজা চেরি, সবাই সিনেমা জগতের নাম এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে জড়িত। শাকিবের প্রথম গোপন সম্পর্কে-অপু বিশ্বাস থেকে এক সন্তানের জন্ম, দ্বিতীয় গোপন সম্পর্ক-বুবলী-থেকে আর এক সন্তান আর মিডিয়ার অভ্যাস তার থার্ড গোপন সম্পর্ক চলছে পূজা চেরির সাথে, সন্তানও নাকি হতে পারে আবার। বিষয়টা বিষয় নয় কারণ তাবৎ দুনিয়ার এন্টারটেইনমেন্ট জগতে এসব হয়, খবর হয় , পাঠক দর্শক, দেখে পড়ে। কিন্তু এদেরকে বিষয় হিসেবে অস্বীকার করা স্রেফ অদ্ভুত অন্ধ হওয়ার সাধ জাগার মতো মিডিয়ার জন্য। কে কিভাবে এই সব কভার করছে সেটাই বিষয়, কভার করছে কি করছে না, সেটা নয়।