তিনি বলেন, ‘মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার ক্ষেত্রে স্যার ফজলে হাসান আবেদ নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তাই, শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষ নয় সারা বিশ্বের মানুষ তাকে বছরের পর বছর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’
রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির এ নেতা দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের সাথে আর্মি স্টেডিয়ামে যান এবং আবেদের নামাজে জানাজাতে অংশ নেন।
আবেদের মতো মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই জন্মগ্রহণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতা মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার মধ্যে দিয়ে বিশ্ব পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিলেন। ‘যুগে যুগে যারা সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন তাদের পাশে তার নাম লেখা থাকবে।’
বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি পরিবর্তনে আবেদের অবদানের কথা স্মরণ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি আমাদের দেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতেও অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষত শিক্ষার ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। আমরা মনে করি দেশজুড়ে থাকা ব্র্যাক স্কুলগুলো আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে বড় অবদান রেখেছে।’
আবেদের সাথে তার ব্যক্তিগত স্মৃতির কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, ব্র্যাক প্রতিষ্ঠাতার সাথে চীনে একটি সম্মেলনে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেখানে তিনি মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজেই পূরণ করা যাবে না।’
পরে তিনি সেখানে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ ৮৩ বছর বয়সে শুক্রবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। রবিবার সাড়ে ১২টার দিকে আর্মি স্টেডিয়ামে নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সর্ব স্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।