সেই সাথে তাদের অভিযোগ, ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত কালো টাকা ব্যবহার করছে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে এ অভিযোগ জমা দেয়।
লিখিত অভিযোগ পাঠ করে আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আমরা সন্ত্রাসী হামলা ও সহিংসতায় জড়িত বিএনপি-জামায়াতের সব ক্যাডারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা আওয়ামী লীগের লোকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের আরও অভিযোগ, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি-জামায়াত ভোটারদের কেনার জন্য কালো টাকা ব্যবহার করছে, যা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে এক প্রতিবন্ধকতা।
বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাতে নাশকতা এবং পুলিশ ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা শুরু করেছে বলে দাবি করেন আখতারুজ্জামান। সেই সাথে তার অভিযোগ, বিএনপি-জামায়াত আসলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে।
নির্বাচনের দিন সাংবাদিকদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এবিষয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সাংবাদিকরা যাতে বিনা বাধায় এবং যথাযথ পরিচয়পত্রসহ তাদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলে যেকোনো জায়গায় চলাচল করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে বলেছি। জবাবে ইসি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে।’
এসময় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের আরেক সদস্য ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, নির্বাচনের দিন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভুল নির্দেশনা দেয়ার জন্য দুর্বৃত্তরা সরকারি বা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ফোন নম্বর ক্লোন করতে পারে। এবিষয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এ ধরনের জালিয়াতি রোধ করতে ইসিকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।