বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতই ত্রাস সৃষ্টি করে এবং কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে সিল মেরে বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দিয়ে ভোট ছিনতাই করেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ করেননি। প্রায় ১৬২টি কেন্দ্র থেকে সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যেই সব এজেন্টদের বের করে দেয় এবং ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। উপরন্ত প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা নিলর্জ্জের মতো বলেন যে, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন যে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলের লোকরা নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ‘সরকার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার নীলনকশা প্রয়োগের জন্য ভোট ডাকাতির কৌশল নিয়ে জনগণের সাথে আবারও প্রতারণা করেছে।’
ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে অভূতপূর্ব দুর্নীতিতে লিপ্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসি জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে একদলীয় শাসন পুনরুদ্ধারে সরকারি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এর আগে শনিবার ঢাকা -৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে উপনির্বাচনে বিভিন্ন ‘অনিয়ম’ ও ভোটারদের কম উপস্থিতির মধ্যে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বেসরকারিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ফখরুল অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইভিএম দিয়ে জাল ফলাফল করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে। ‘আমরা নির্বাচন এবং ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি এর প্রতিবাদে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আগামী সোমবার সারা দেশে মহানগর ও জেলা সদরে এবং মঙ্গলবার থানা/উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবে বলে ফখরুল জানান।