মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ ও গোলাম আক্তার জাকির, রকুনুজ্জামান সুজা, কে আর খান পাঠান ও মো. সেলিম মিয়া।
নড়াইলের মামলায় ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট এবং ঢাকার মামলায় একই বছরের ১৪ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেয় হাইকোর্ট। এ জামিন স্থগিত করতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলেও আপিল বিভাগ তা বহাল রাখে। পরে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জামিনের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে আদেশ দেন। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার আবেদনে আরও এক বছর জামিন বাড়ায়।
এরআগে, মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করা হয়। স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে স্বশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করে নড়াইল আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত ওই বছরের ১৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেয়।
এছাড়াও, একই ঘটনায় ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকীর করা মামলায় ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে। এরপর খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হলে ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট আদালত তাকে ছয় মাসের জামিন দেয়।