এছাড়া এ মামলায় বিএনপি প্রধানের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত।
রবিবার জামিন শুনানি শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মেডিকেল বোর্ডকে অ্যাডভান্স চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিলে সেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না এবং তার শরীরের বর্তমান অবস্থা, এই তিন বিষয়ে জানাতে বিএসএমএমইউ ভিসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলার জামিন শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করে হাইকোর্ট।
অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার এ মামলায় নতুন করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
জামিন আবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন গুরুতর অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন।’
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর দুর্নীতির মামলায় আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে।
এদিকে পৃথক আরেকটি দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।