এ ঘটনায় গণপূর্ত বিভাগের প্রধান অফিস সহকারী সোমবার রাতে সদর থানায় জিডি করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে মুকুল ও নিলয় রায় বাঁধন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসে ডুকে তার কাছে করোনাভাইরাসের সাধারণ ছুটিতে যেসব কাজের চুক্তি হয়েছে তার কাগজপত্র চান এবং উত্তেজিত কণ্ঠে কথা বলেন। এ সময় অফিসের প্রধান সহকারী হাবিবুর রহমান ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে অফিসের নিজ কক্ষে ডেকে আনলে উত্তপ্তবাক্য বিনিময় ও গালিগালাজ করেন তারা। একপর্যায়ে সাবেক ওই দুইনেতা চেয়ার তুলে প্রধান সহকারীকে আঘাত করেন। তিনি দ্রুত সরে গেলে অফিস সহকারীর টেবিল-চেয়ার, অফিসের টেলিফোন সেট ভেঙে ফেলে এবং ফাইলপত্র তছনছ করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল বলেন, নড়াইল গণপূর্ত বিভাগ করোনায় অফিস বন্ধ হবার পর ৪টি কাজ গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে হয়েছে এবং এসব কাজের জন্য অফিস ২০ শতাংশ ঘুষ নিয়েছে। আমরা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি আমাদের অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। আমরা কোনো ভাঙচুর ও চাঁদা দাবি করিনি। এটা তাদের সাজানো নাটক। যদি কোনো ভাঙচুর ও চাঁদা দাবি করি তাহলে সিসি টিভি দেখে প্রমান করা হোক। না হলে আমরা মানহানির মামলা করব।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ পারভেজ বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে মামলা করা হবে।
সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।