চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সমর্থিত চমেক ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল হক ভুঁইয়া, পাঁচলাইশ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবু তালেব ও ডিবির এসআই আলমগীরসহ দুজন।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- কনক দেবনাথ, ইমন সিকদার, ফাহাদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম হৃদয়, অভিজিৎ দাশ, হোজাইফা বিন কবির, খোরশেদ বিন মেহেদী, সানি হাসনাত প্রান্তিক, ডা. ফয়সাল আহমেদ, ডা. মাসুম বিল্লাহ মাহিন, মাহতাব বিন হাসিম ও ডা. নুর মোহাম্মদ তানজিম।
চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, সকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল হাসপাতালে এসেছিলেন। তিনি যাওয়ার পর চমেক ছাত্রলীগ পরিচয়ে কয়েকজন এবং বহিরাগতরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বহিরাগতদের সাথেই মূলত সমস্যা সৃষ্টি হয় চমেক ছাত্রলীগের। পরে বহিরাগত ও চমেক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘আমি গতকাল রাতেই ইঙ্গিত পেয়েছিলাম আজ সকালে মারামারি হকে পারে। তাই সকাল থেকে দুই গেইটে দুই প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম।’
‘পাচঁলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্যার নিজেও ছিলেন। সকালে চমেক হাসপাতাল পরিদর্শনে যান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান নওফেল। তিনি চলে যাওয়ার পরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ প্রতিরোধ না করলে আজ ক্যাম্পাসে কয়েকটা লাশ পড়তো,’ যোগ করেন জহিরুল হক ভুঁইয়া।