বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রদলের প্রায় ৩০ জন সাবেক নেতা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন এবং অনশন শুরু করেন।
ছাত্রদলের আগের কমিটির স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রদলে তাদের অনেক অবদান রয়েছে এবং শুধুমাত্র বিবাহিত হওয়ার কারণে তাদের দল থেকে বাদ দেয়া ন্যায়সঙ্গত নয়।
তিনি বলেন, তারা চান বিএনপির হাইকমান্ড ছাত্রদলে তাদের অবদানকে মূল্যায়ন করে সংগঠনের নতুন কমিটিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
আরাফাত বলেন, বিয়ের জন্য নতুন কমিটি থেকে তাদের বাদ দিলে তারা কমিটি মেনে নিবেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আরেক সাবেক নেতা মুজাহিদুর রহমান বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। নতুন কমিটিতে পদ পাওয়ার যোগ্যতা তাদের রয়েছে।
তিনি বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
মুজাহিদ বলেন, তারা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তারা সিনিয়র নেতাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভোটের মাধ্যমে ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল যথাক্রমে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
গত ২৭ বছরে প্রথমবারের মতো ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের আয়োজন করে ছাত্রদল।
সর্বশেষ ১৯৯২ সালে রুহুল কবির রিজভী এবং এম ইলিয়াস আলী ভোটের মাধ্যমে যথাক্রমে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক খুব শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।