ধামরাই থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারকে মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
এস আই জানান, সম্প্রতি সোয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ফজল মিয়া ৩ বস্তা চাল বিক্রি করতে একই ইউনিয়নের ঈশান নগর বাজারে যান। এ সময় স্থানীয় কিছু লোক তাকে চালসহ আটক ও মারধর করেন। তাদের অভিযোগ বিক্রির জন্য নিয়ে আসা এ চাউল সরকারি ও জনসাধারণের মাঝে বিতরণের জন্য। পরবর্তীতে তাকে চালসহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহবাবের ঘনিষ্টরা উদ্ধার করেন। চৌকিদার ফজল মিয়ার দাবি, এ চাউল তিনি বিভিন্নজনের কাছ থেকে কিছুটা কম মূল্যে ক্রয় করেছেন এবং সেই চাউল বিক্রি করতে বাজারে গিয়েছেন। পরে তাকে মারধর করার অভিযোগে তিনি বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার এসআই আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা শনিবার রাত ১২টায় ওবায়দুরের সাভারের বাসায় অভিযানে যান এবং সারা রাত সেখানে অবস্থানের পর সকাল ৭টার দিকে ওবায়দুর রহমান বাড়ি থেকে বের হলে পুলিশ তাকে ধামরাই থানায় নিয়ে আসে।
অভিযুক্ত ওবায়দুর রহমান খান দাবি করেন, তিনি দীর্ঘদিন এলাকায় যান না এবং চৌকিদারকে মারধরের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
এদিকে, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধামরাইয়ে সোয়াপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন ওবায়দুর রহমান খান। বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহবাব ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। তিনি সাভারে বসবাস করেন এবং সাভারে শাহজালাল মার্কেটে তার ডিমের আড়ৎ রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন সাভার ডিম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।