তিনি বলেন, ‘সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মনে হচ্ছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি না। সকাল থেকেই আতঙ্ক সৃষ্টি করে ও হামলা চালিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।’
মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিএনপি মেয়রপ্রার্থী আরও বলেন, ‘আমার মা ভোট দেয়ার সময় সেখানের ইভিএম মেশিন নষ্ট (ব্রেকডাউন) হয়েছে।’
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তাবিথ বলেন, ‘আমাদের মূল শক্তি হলো জনগণ এবং আমরা তাদের সাথে নিয়ে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করবো।’
২০১৫ সালের সর্বশেষ ডিএনসিসি নির্বাচনে ভোটচলাকালীন নির্বাচন থেকে সড়ে গেলেও এবার ‘শেষ দৃশ্য দেখার জন্য ভোটের মাঠে’ থাকবেন বলে জানান তাবিথ।
তিনি বলেন, ‘আমরা হাল ছাড়ছি না এবং মনোবলও ভাঙছি না। ছেড়ে দিচ্ছি না এবং মানসিক চাপেও ফেলছি না। আমরা বুঝতে পেরেছি যে আমাদের প্রতিদ্বন্ধীরা আমাদের ভয় পেয়েছে ‘
এসময় রাজধানীর কালাচাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং বনানী মডেল স্কুলসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে তাদের পোলিং এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন বিএনপি প্রার্থী তাবিথ।
বিএনপির এই প্রার্থী জানান, নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
সকল এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটদের থাকার কথা থাকলেও তিনি তার এলাকায় কাউকেই খুঁজে পাননি বলেও অভিযোগ করেন তাবিথ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যান তাবিথ। সেখানে ইভিএম মেশিনটি কাজ না করায় তার মা নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ভোট দিতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হন। পরে, নির্বাচন কর্মকর্তাদের সহায়তায় সমস্যা সমাধান করা হয়।
কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফারজানা শারমিন বলেন, ‘প্যানেলের সংযোগ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় ইভিএম কাজ করছিলো না। পরে আমরা প্যানেলটি পরিবর্তন করেছি এবং তার (নাসরিনের) ভোট নিয়েছি।’