নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী সমাধানে সংবিধানের আলোকে একটি আইনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি. এম কাদের। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো আইন নেই। এটি খুবই দুঃখজনক। সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন প্রণয়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে আপস করবে না জাপা: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা চাই সংবিধানের আলোকে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হোক যা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এটি নির্বাচন কমিশন গঠনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতেও সাহায্য করতে পারবে।’
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, `রাষ্ট্রপতি প্রতি পাঁচ বছর পর একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন যা নানা ধরনের সমালোচনার জন্ম দেয়।’
‘কমিশনারদের পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিতে নিয়োগ করা হলে জনগণের ভোটাধিকার ব্যাহত হয়। সুতরাং, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়ন করা জরুরি হয়ে উঠেছে’, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, ‘সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়নেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
তিনি আশা করেন, উৎসবমুখর পদ্ধতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনের মাধ্যমে একটি সৎ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব হবে।
জাতীয় পার্টির প্রধান আরও বলেন, ‘একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন দেশের মানুষকে নির্বাচনে আগ্রহী করে তুলতে পারে। জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে তাদের ভূমিকা আরও তীব্র করতে সক্ষম হবে। তবেই মানুষ গণতন্ত্রের আসল স্বাদ পেতে শুরু করবে।’