বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে কর্মকর্তাদের তালিকা জমা দিয়ে বিরোধীদলীয় জোটটি এই দাবি জানিয়েছে।
ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল পুলিশ কর্মকর্তাদের তালিকা এবং নির্বাচনের জন্য লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে নিজেদের বিভিন্ন দাবি ও পর্যবেক্ষণ থাকা একটি চিঠি জমা দেন।
যেসব পুলিশ কর্মকর্তা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অনুসারী তাদের নির্বাচনের দায়িত্বে জড়িত না করতে ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আলাল বলেন, ‘আমরা ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার ৭০ জন কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়েছি, যারা লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে ব্যস্ত রয়েছেন।’
আলাল জানান, তারা যেসব পুলিশ কর্মকর্তার নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অপসারণ চেয়েছেন তাদের বিস্তারিত তথ্য ইসিতে জমা দিয়েছেন।
বিএনপির এ নেতা দাবি করেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর কিছু সরকারি ও ইসি কর্মকর্তা এমন কাজ করছেন যা নির্বাচনী আচরণবিধির বিরুদ্ধে যায়। ‘এবিষয়ে আমরা কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা চেয়েছি।’
আলালের অভিযোগ, তাদের নেতা তারেক রহমান দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়ায় ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কিছু ‘বিতর্কিত’ কর্মকর্তা বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে স্কাইপে এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ‘এটাও নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।’