এবিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিশ্চুপ রয়েছে বলেও সমালোচনা করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নির্বাচনী আচরণবিধির ১৪ (২) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘এরকম একটি রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ও সরকারি অর্থায়নে সম্পূর্ণরূপে নিয়মবহির্ভূত দলীয় কার্যক্রমের বিষয়ে নিশ্চুপ নির্বাচন কমিশন। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার টু শব্দটিও করেন না।’
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ভিড়ে বুধবার গণভবনের আশপাশের রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শাসকগোষ্ঠীর চোখের ইঙ্গিতেই পুলিশ নড়াচড়া করে বলে মন্তব্য তার।
রিজভীর দাবি, ‘বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের হাতে প্রচুর পরিমাণে বৈধ-অবৈধ অস্ত্র দেয়া হয়েছে।’
‘নির্বাচনকালে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্র জমাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি হলেও নির্বাচন কমিশন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। এতে প্রমাণিত হয়, নির্বাচন কমিশন বিশেষ দলের পক্ষেই নির্বাচনী মাঠ সমতল করছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কমিশনের তৎপরতা আইনানুগ নয়,’ যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
তিনি বলেন, মানুষ বিশ্বাস করে যে বুধবার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশের গুলিতে ক্ষতবিক্ষত করার নির্দেশদাতা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তার অভিযোগ, পুলিশ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মিছিলে গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত করে। এই গাড়িচাপায় অন্তত ২০ জনের অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।