রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আছমা আহম্মেদ এ আদেশ দেন। আদেশের পর আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২২ ডিসেম্বর রাত সোয়া ১০টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকির ঘাট নামক স্থানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর লাঙ্গল মার্কার নির্বাচনী অফিসে কে বা কারা হামলা ও অগ্নি সংযোগ করে ।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা এতদিন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ জানান , ওই মামলায় পুলিশ ৩৮ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। রবিবার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এমআর ইসলাম স্বাধীনসহ আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, গায়েবি মামলায় জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো দুঃখজনক। আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে এতদিন জামিনে ছিলেন। তাই তারা জামিন প্রাপ্য।
এদিকে বিএনপি নেতা স্বাধীনসহ ৩৮ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বগুড়া জেলা বিএনপি।
বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মো. সিরাজ, বগুড়া -৪ (কাহালু- নন্দীগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম ও ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী , জেলা যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, বগুড়া শহর ও সদর উপজেলা বিএনপি পৃথক পৃথক বিবৃতিতে অবিলম্বে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি করেছেন।