তিনি বলেন, বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। বিএনপির অপর নাম এখন প্রেস রিলিজ ও নালিশ পার্টি।
মঙ্গলবার খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে- এই মাস না ওই মাস সেটা দেখতে দেখতে ১১ বছর কেটে গেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত ও সন্ত্রাসী বিএনপিকে মানুষ আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না।
আ’লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলটির সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন. ছবি টানিয়ে বিলবোর্ড প্রদর্শন করে নেতা হওয়া যায় না। নেতা হতে হলে নেতৃত্বের যোগ্যতা, কর্মীদের ভালবাসা অর্জন করতে হবে। মঞ্চ যতো বাড়ছে, নেতাও ততো বাড়ছে। নেতা যত বাড়ছে, কর্মী তত কমছে। এখন পোস্টার-ব্যানার লাগাতে কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় না। ভাড়া করা লোক দিয়ে পোস্টার লাগাতে হয়।
আওয়ামী লীগে দূষিত রক্তের প্রয়োজন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, মাদক ব্যবসায়ীদের দলে নেবেন না। নিজের ঘরের লোক দিয়ে কমিটি করবেন না। দুঃসময়ের কর্মীদের বাদ দিয়ে সুবিধাবাদীদের নেতা বানাবেন না। সময় এলে এসব সুবিধাবাদীদের পাশে পাবেন না। দুঃসময়ে এসব বসন্তের কোকিলেরা হারিয়ে যাবে।’
নেতাদের সতর্ক করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীর এখন কোনো পরিচয় নেই। তারা ঘরে গিয়ে কিছু বলতে পারে না। এসব কর্মীদের মূল্যায়ন করুন। কর্মীরা বাঁচলে আওয়ামী লীগ বাঁচবে।
সারাদেশে চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীরা সাবধান। সারাদেশে জাল বিছানো হয়েছে। কখন কে ধরা পড়ে বলা মুশকিল। আপনারা সতর্ক হয়ে যান।
বেলা সাড়ে ১১টায় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ।