তিনি বলেন, ‘আজ ক্ষমতায় আছি বলে সুদিন রয়েছে। সামনে সুসময় নয়, দুঃসময়ও আসতে পারে। কারণ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাদের প্রধান টার্গেট শেখ হাসিনা। তাই বার বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে হবে। তাকে রক্ষা করতে না পারলে সবকিছু অন্ধকার হয়ে যাবে।’
বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আদালতকে চাপ দেয়া হচ্ছে। সেখানে পাকিস্তানি স্টাইলে হামলা করা হয়েছে। কিন্তু বিশৃঙ্খলা করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না, আইনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার খলনায়ক। এ দুটি ঘটনার সাথে জিয়া জড়িত। তাই তার বিচার ছাড়া এসব ঘটনার বিচার অপূর্ণ থেকে যাবে।
তিনি আইনমন্ত্রীকে এসব বিষয়ে কমিশন গঠন করে প্রয়াত জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে বিচারের পরামর্শ দেন।
নাসিম বলেন, ‘বগুড়া হলো চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের জায়গা। তাই জনগণের সাথে ভালো আচরণ করে এ জেলাকে আওয়ামী লীগের দূর্গে পরিণত করে আগামীতে ৭ আসনেই জয় লাভ করতে হবে।’
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে কত লোক সাড়া দেয় তা দেখতে চাই। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করা হলে তা মোকাবিলায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ প্রস্তুত রয়েছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাক্তার মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনুর পরিচালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দলের সাংগাঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে, বিকালে মজিবর রহমান মজনু ও বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুকে যথাক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।