জামিন আবেদন খারিজের অর্থ তাকে জেলেই থাকতে হচ্ছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না। তবে সরকার তো চাচ্ছে খালেদা জিয়াকে মরণ পর্যন্ত জেলখানায় আটকে রাখতে। এটা তো সরকারের ইচ্ছা। এখন পর্যন্ত সরকারের ইচ্ছায় বাস্তবায়িত হয়ে যাচ্ছে। সরকারের ইচ্ছা অনুসারেই তাকে জেল দেয়া হয়েছে। তার কারণ, এই মামলায় কোনো এভিডেন্স নেই।’
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের পর সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন কারাগারে গেলেন, তখন পায়ে হেঁটে সুস্থ অবস্থায় গেলেন। দিন দিন যখন তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল, তখন তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। আমরা জানতে পেরেছিলাম দিন দিন তিনি পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ। তারপরও আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।’
‘সর্বোচ্চ আদালতের এজলাসে নজিরবিহীনভাবে সিসি ক্যামেরা বসানো হলো। তখনই আমাদের আইনজীবীরা ধরেই নিয়েছে, আদালত আগে থেকেই একটা প্রিপারেশন নিয়ে এসেছে। ধারণা ছিল হয়তোবা, জামিন পাবো না। তারপরও আমরা নানাভাবে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি,’ বলেন তিনি।
‘মেডিকেল রিপোর্টেও এসেছে তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দরকার। তিনি পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন। তার যে ওষুধ শরীরে পুশ করা প্রয়োজন সেই ওষুধ পুশ করা যাচ্ছে না। এছাড়াও আদালতকে বলেছি, এ ধররের দণ্ডপ্রাপ্ত মামলায় অনেকেই জামিন পেয়েছেন। তারপরও দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে তিনি (খালেদা) জামিন পেলেন না। এখন সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা শজরে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে,’ যোগ করেন খালেদা জিয়ার এ আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
জামিন আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।