তিনি বলেন, ‘আমাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কখন এবং কীভাবে গণবিস্ফোরণ ঘটবে তা কারও বলা সম্ভব না। কিন্তু সত্য হলো এ সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। নিজেদের দুর্নীতির ভারেই তাদের পতন হবে।’
বিএনপির এ নেতা এক প্রতিবাদ সভায় আরও বলেন, ‘তাদের (সরকার) প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রতঙ্গে ও শাখা-প্রশাখায় যেভাবে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে তা থেকে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী নবীন দল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ সরকারের চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে কেবলমাত্র আইওয়াশ হিসেবে বর্ণনা করেন।
‘সরকার দুর্নীতি দমন করতে পারবে না। যদি তারা এ বিষয়ে আন্তরিক হত তাহলে শুধুমাত্র কিছু ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সব এমপি ও মন্ত্রীর সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করত,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বিরোধীদের দমনে নির্যাতন ও ‘মিথ্যা’ মামলা দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন।
বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন যে তাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে ১৮ মাস কারাবন্দী করে রাখার পাশাপাশি দলের ২৬ লাখের অধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা দেয়া হয়েছে। ‘তারা (সরকার) জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিএনপিকে নিঃশেষ করে দিতে চায়। কিন্তু বিএনপি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল হওয়ায় তারা এ দলকে নিঃশেষ করতে পারেনি।’
জনগণ এবং তাদের অধিকারের জন্য কাজ করা বিএনপিকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে সরকার কখনো সক্ষম হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
মওদুদ বলেন, তাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সরকার ও এর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন না
তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ এ সরকারের পতন আবশ্যিক হওয়ায় তাদের চেয়ারপার্সন মুক্তি পাবেন এবং শিগগিরই দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে।