বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শাসক দলের ক্যাডাররা গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের মিছিলে বাধা দিয়েছে। তারা বিএনপি প্রার্থীদের এজেন্ট ও সমর্থকদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করছে। আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা গ্রামে-গ্রামে মহড়া দেয়ায় সর্বত্র এক ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখেছেন। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর ইশারায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে সবকিছু হচ্ছে।’
নির্বাচনে পরাজয় হবে বুঝতে পেরে বিএনপি নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার যে মন্তব্য করেছেন তার জবাবে রিজভী বলেন, ‘নাশকতার জন্য আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এই শাসক দল ও সরকার সন্ত্রাসের নিরাপদ স্বর্গ।’
তিনি শেখ হাসিনার প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহর এবং দলের নেতা মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আফরোজা আব্বাস, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, রোমানা মাহমুদ, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখের ওপর কে হামলা চালিয়েছে। ‘বেপরোয়া গ্রেপ্তার অভিযানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িছাড়া করা হচ্ছে। এসব ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কাজ থেকে জাতি জানতে চায়।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, এসব ঘটনার পরও রবিবার ভোট বিপ্লব হবে। তিনি অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা দেশব্যাপী অভিযানের নামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর এবং দলের অনেককে গ্রেপ্তার করেছে।
রিজভী দাবি করেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপির মোট ১০ হাজার ৩২৯ জনকে গ্রেপ্তার, ৮৪৪টি ‘গায়েবি ও মিথ্যা’ মামলা দায়ের, দুই হাজার ৮৯৬টি হামলা, মোট ১৩ হাজার ২৫২ জনকে আহত এবং নয়জনকে হত্যা করা হয়েছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩৮টি ‘বানোয়াট’ মামলা দায়ের এবং এক হাজার ১২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।