এসময় দুগ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের লাঠিচার্জ টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের উত্তেজনার মধ্যেই সকালে দলের বর্ধিত সভা শুরু হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেলকুচি পৌর মেয়র আশানূর বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় যুবলীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার লোকজন বাধা দিলে এ সংঘর্ষ বাধে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পৌর মেয়র আশানূর বিশ্বাস বলেন, দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় রেজার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার সমর্থকদের উপর হামলা চালালে ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাসহ অন্তত ১৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে, সাবেক যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, পৌর এলাকায় বর্তমান মেয়র আশানূর বিশ্বাসের কোনো জনসমর্থন না থাকায় বর্ধিত সভায় বাধা সৃষ্টি করে তার নেতা-কর্মীদের মামলা-মোকদ্দমায় ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান ওসি।