এ ঘটনায় দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ভান্ডারি মহল এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর ও অবমাননা করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারী জানান, সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা যুবলীগের একটি মিছিল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের র্যালি নিয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সভাস্থলে ঢুকে হামলা করে। পুলিশ মিছিলের সামনে থাকলেও তারা বাধা দিতে ব্যর্থ হয়।
এ সময় সাংবাদিক আ. মমিন গাজী, এএসআই মঞ্জুর আলম, এএসআই দিদার হোসেন, কনস্টেবল রাশেদ আহত হন।
এছাড়াও হামলাকারদিরে লাঠির আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান আহমেদ রিপন, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ইরান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইলিয়াছ বেগ, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানসহ ৯-১০ জন আহত হন।
সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। পুলিশের ভুমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রকিব বলেন, যুবলীগের মিছিলটি পুলিশ বেস্টনির মধ্যে থাকলেও তারা বেস্টনি ভেদ করে হামলা চালায়। পুলিশ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।