এসময় ঢাকাগামী এমভি রফ রফ-২ ও এমভি রাসেলকে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া, মুখে মাস্ক না পড়ায় ১৫ লঞ্চযাত্রীকে ১৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
লঞ্চঘাটে আগত যাত্রী সাধারণকে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সচেতন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রৈট সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (এসি ল্যান্ড) মো. ইমরান হোসেন সজিব ও ঢাকার ম্যারিন কোর্টেরর নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম লঞ্চঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম ইউএনবিকে জানান, ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, আজও ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে পর্যাপ্ত যাত্রী ছিলো। লঞ্চের ভেতরে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা হয়নি ও অধিকাংশ যাত্রীর মাস্ক পড়া ছিলো না। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বালাই দেখা যায়নি।
এদিন সকাল ৬টা থেকে সব লঞ্চই উপচেপড়া যাত্রী নিয়ে ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে বলে জানান ঘাটের দোকানদাররা।
শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৯/১০টি লঞ্চ অল্প সময়ের মধ্যে যাত্রীতে ভরে যাওয়ায় প্রশাসনের নির্দেশে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
লঞ্চ মালিকদের প্রতিনিধি আলী আজগর, শওকত বেপারি ও রুহুল আমিন জানান, শুক্রবারের তুলনায় শনিবার যাত্রীদের ভিড় একটু কম।
শওকত বেপারি জানান, ‘এবার ঈদের আগে ও পরে লঞ্চে কোনো ওভারলোডিং নাই। প্রশাসন খুব কড়া, দেখেন না।’