এদিকে, গত শনিবারের এ ঘটনার পর রবিবার ভুক্তভোগী নারীর করা মামলায় সোহেল নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ইছামতি গ্রামের সোহেল, গোপিনাথপুর গ্রামের খোকা শেখের ছেলে হেকমত ও একই গ্রামের বারিক শিকদারের ছেলে টিপু শিকদার, হিদিয়া গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে নাজমুল ও একই গ্রামের সাইফার বিশ্বাসের ছেলে শফিকুল বিশ্বাস।
জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী খড়রিয়া এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এক বছর আগে তিনি আরেকটি বিয়ে করেন। গত সপ্তাহে একই অটোবাইকে করে মামাবাড়ি যাওয়ার পথে নাজমুল এবং শফিকুলের পরিচয় হয়।
তখন তারা ওই গৃহবধূর সমস্যার কথা শুনে স্বামীর বিয়ে করা দ্বিতীয় স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে তালাক করিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। সেই মতোবেক গত ২৪ মার্চ গৃহবধূর স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে ফোনে তালাকের জন্য হুমকিও দেয় তারা। এতে তাদের ওপর ওই গৃহবধূর বিশ্বাস স্থাপন হয়।
এরপর গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূকে উপজেলার ইছামতি গ্রামের পাগলা বাবার আশ্রমে আসতে বলে নাজমুল। কথামত সেখানে গেলে নাজমুলসহ অন্য আসামিরা গৃহবধূকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোহেল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।