আশুগঞ্জ উপজেলার চাল উৎপাদন কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে প্রতিদিন ৪-৫ হাজার টন চাল সরবরাহ করা হয়। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে স্বাভাবিকভাবেই মোকামে চাল সরবরাহ সম্ভব হবে না। আর এসব চাতালে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন। টানা বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে না পারায় মজুরি পাচ্ছেন না তারা।
বৃহত্তর হাওর এলাকা কিশোরগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আশুগঞ্জে প্রতিদিনই হাজার হাজার মণ ধান আসে। আর এসব ধান স্থানীয় চাতালে চালে পরিণত করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও নৌপথে সরবরাহ করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে পানিতে ভেজানো ধানে চারা গজিয়ে গেছে। এছাড়া খোলা মাঠে টুপরি দিয়ে রাখা ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাতাল মালিকরা। ফলে চালের বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে।
চাতালকলে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে না পারায় গত তিন দিন ধরে তারা বেকার বসে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা চাতালকল মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমানে উপজেলার শতাধিক চাতালকলে প্রায় অর্ধ লাখ টন ধান সিদ্ধ করে রাখা। বাকি চাতালগুলোতে অর্ধ লাখ টন ধান হাউজে ভেজানো রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে এসব ধান শুকানো যাচ্ছে না। এতে প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।’