শনিবার রাত থেকে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে তরুণ ডেকোরেটর নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ভাত ও মুরগির মাংস রান্না করে শহরের ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে সরবরাহ করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
আবু সুফিয়ান জানান, বাসাবাড়ির পাশাপাশি শহরের খাবারের হোটেলসহ বিভিন্ন দোকানের পঁচা-বাসি, উচ্ছিষ্ট ও অতিরিক্ত খাবার বেওয়ারিশ কুকুরসহ বিভিন্ন পশুর খাবারের প্রধান উৎস। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে শহরের অধিকাংশ হোটেলসহ খাদ্যদ্রব্যের দোকান বন্ধ রয়েছে। খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় বাসাবাড়িগুলোতেও পরিমিত রান্নাবান্না হচ্ছে। ফলে কুকুরসহ ভ্র্যামমাণ বেওয়ারিশ প্রাণীরা খাদ্য সংকটে পড়েছে।
খাবার সংকটের কারণে শহর ও পাড়ামহল্লায় ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ কুকুরগুলো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। ক্ষুধার্ত এসব বেওয়ারিশ কুকুর যেকোনো সময় ফাঁকা রাস্তায় চলাচলকারী মানুষের ওপর আক্রমণ করতে পারে। এমন প্রাণীর ক্ষুধা নিবারণ ও মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এজন্য শহরের তরুণ ডেকোরেটরের মালিক তার প্রতিষ্ঠানের লোক দিয়ে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে এ খাবার রান্না ও সরবরাহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যা শনিবার রাত থেকে চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন ১০ কেজি চাল ও ৪ থেকে ৫ কেজি বয়লার মুরগি রান্না করে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে চাহিদা অনুয়ায়ী এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
তরুণ ডেকোরেটরে মালিক তরুণ ভৌমিক জানান, শনিবার রাত থেকে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করেছেন। রবিবার সকাল ও সন্ধ্যায় দুইবার রান্না করে শহরের চারটি স্থানে সরবরাহ করা হবে।
প্রাণীর জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ানের মানবিক উদ্যোগে সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি।