নিষেধাজ্ঞার কার্যকর হওয়ার পর এখানকার পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ অঞ্চল ইলিশের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। ১ মে থেকে আবার ইলিশ ধরা শুরু হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত তারা অভিযান চালিয়েছে, কিন্তু দুটি নদীতে কোনো জেলেকে পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদ জানান, মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকা থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগের জন্য জেলার সকল উপজেলায় টাস্কফোর্স কমিটির গঠন করা হয়েছে।
ইলিশ ব্যবসায়ী শাহাজান সরদার, বাবুল হাজী, নুরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, মৌসুমের বাইরে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছিল।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করেন তারা।
দেশের মাছ উৎপাদনে একমাত্র ইলিশ সর্বাধিক অবদান রেখেছে বলে জানিয়েছে সরকার। দেশের মৎস্য উৎপাদনের ১২ দশমিক ৯ শতাংশের বেশি আসে ইলিশ থেকে।
২০১৭-১৮ সালে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫.১৭ লাখ মেট্রিক টন যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা ছিল।